সেই ময়নার প্রকৃত হ*ত্যা’কারীকে জানা গেল, বেরিয়ে এলো নতুন গোপন তথ্য
তদন্তে বেরিয়ে আসে, ময়নার হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল তার নিজের মা ও চাচা। জানা যায়, ময়নার বাবা বিদেশে থাকায় তার অনুপস্থিতিতে স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন চাচার সঙ্গে। ঘটনার দিন দুপুরে ময়না হঠাৎ তাদের অবৈধ সম্পর্ক আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন। এ সময় সত্য ফাঁসের আশঙ্কায় মায়ের হাতে নির্যাতনের শিকার হয় ময়না।
প্রথমে তার এক কান কেটে দেওয়া হয়। এরপর মেয়ে যেন ঘটনাটি প্রকাশ না করতে পারে, এজন্য পৈশাচিকভাবে দেওয়ালের সাথে ধাক্কা দিয়ে আঘাত করা হয়। কিন্তু এতেও মৃত্যু না হওয়ায়, শেষপর্যন্ত চাচা ময়নার স্পর্শকাতর স্থানে রড ঢুকিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেন।
হত্যার পর তারা লাশ লুকাতে মসজিদের ছাদে ফেলে রাখে, যেন মসজিদের সংশ্লিষ্টদের ওপর সন্দেহ পড়ে। পরিকল্পনা অনুযায়ী পুলিশ ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে গ্রেপ্তার করে, যদিও তদন্তে তাদের সম্পূর্ণ নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছে।
ময়নার বাবার বক্তব্য:
বিদেশ থেকে ছুটে আসা ময়নার বাবা বলেন, “আমার মেয়ে আমাকে ফোনে বারবার বলত, বাবা তাড়াতাড়ি বাড়ি আয়। সে নিশ্চয়ই কিছু জেনে গিয়েছিল, যার জন্য তাকে চিরতরে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে।” তিনি মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় তার ভাইসহ একাধিক ব্যক্তিকে সন্দেহ করছেন।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া:
এই ঘটনায় সমাজে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দাড়ি-টুপি থাকার কারণে নির্দোষ ইমাম-মুয়াজ্জিনকে বিনা প্রমাণে হয়রানি করার অভিযোগে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

Post a Comment