দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী জীবনে সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য রিজিকের গুরুত্ব অপরিসীম। মহান আল্লাহও হালাল উপায়ে রিজিক অন্বেষণের নির্দেশ দিয়েছেন।
পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘অতঃপর যখন নামাজ শেষ হয়ে যাবে, তখন জমিনে ছড়িয়ে পড়, আর আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান কর এবং আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করতে থাক, যাতে তোমরা সাফল্য লাভ করতে পার।’ (সুরা জুমা, আয়াত: ১০)
হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রায়ই রিজিকে বরকতের দোয়া করতেন। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, একবার নবীজি (সা.) দোয়া করেছিলেন, ‘হে আল্লাহ! আমার গুনাহ মাফ করো, আমার ঘর প্রশস্ত করো এবং তুমি আমাকে যে রিজিক দিয়েছ, তাতে বরকত দান করো।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৩৫০০)
কুরআন ও হাদিসে রিজিক বৃদ্ধির জন্য কয়েকটি বিশেষ আমলের কথা উল্লেখ আছে। এর মধ্যে চারটি গুরুত্বপূর্ণ আমল নিচে তুলে ধরা হলো—
১. ওয়াক্তমতো নামাজ আদায়: পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ ইবাদত। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল হলো যথাসময়ে নামাজ আদায়। নামাজের সঙ্গেই রিজিকের সম্পর্ক রয়েছে।’
কুরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আমি তোমার কাছে কোনো রিজিক চাই না। আমিই তোমাকে রিজিক দেই।’ (সুরা ত্বহা, আয়াত: ১৩২)
২. আল্লাহর শুকরিয়া আদায়: রিজিকে বরকত লাভের অন্যতম উপায় হলো শুকরিয়া আদায় করা। কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় কর, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের (নেয়ামত) বাড়িয়ে দেবো।’ (সুরা ইবরাহিম, আয়াত: ৭)
৩. আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা: আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তার রিজিক প্রশস্ত করতে এবং আয়ু বৃদ্ধি করতে চায়, সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৫৫৯)
৪. নিয়মিত ইস্তিগফার পড়া: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তিগফার পাঠ করে, আল্লাহ তাকে সব বিপদ-আপদ থেকে মুক্ত করবেন, সব দুশ্চিন্তা দূর করবেন এবং এমন স্থান থেকে রিজিক দেবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারবে না।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ১৫১৮)
Post a Comment