
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান ও দুই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন ১৪২টি দেশ। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে মাত্র ১০টি, আর ভোটদানে বিরত ছিল ১২টি দেশ। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে ১৪২ রাষ্ট্রের ভোট ইসলায়েলকে একেবারে হতাশ করে। অপরদিকে, জাতিসংঘের মুসলিম দেশগুলোর প্রতিনিধিদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।
সৌদি আরব ও ফ্রান্স প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় গৃহীত এ প্রস্তাব আন্তর্জাতিক মহলের অভিন্ন অবস্থানকে তুলে ধরেছে। এর মাধ্যমে আবারও নিশ্চিত হলো, ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের ন্যায্য অধিকার অনুযায়ী ১৯৬৭ সালের সীমারেখার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।’
প্রস্তাবে গত বছরের ৭ অক্টোবরের হামলার জন্য হামাসকে দায়ী করে নিন্দা জানানো হয়। একই সঙ্গে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে হস্তান্তর, হামাসের অস্ত্র জমা দেওয়া এবং আটককৃত সব বন্দিকে মুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে ইসরায়েল এ ভোটকে ‘লজ্জাজনক’ আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে পুনর্ব্যক্ত করেছেন, ‘ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র কোনোদিন প্রতিষ্ঠিত হবে না।’
নেতানিয়াহুর এ ধরনের অবস্থান নিয়ে ইসরায়েলের ভেতরেই সমালোচনা বাড়ছে। এর মধ্যে কাতারে অবস্থানরত হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
এ হামলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে না জানিয়ে ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠ মিত্র কাতারে এমন অভিযান চালানো হয়েছে, যা মেনে নেওয়া যায় না।
Post a Comment