চিকিৎসা নিতে গিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরিচয়, এরপর যা ঘটল


 ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করা কিবরিয়া খান ৯ মাস ধরে ধর্মপাশায় প্রাইভেট প্র্যাকটিস করছিলেন। এ সময় শারীরিক অসুস্থতার কারণে এক প্রবাসীর স্ত্রী তার কাছে চিকিৎসা নিতে গেলে তাদের মধ্যে পরিচয় গড়ে ওঠে। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।

প্রবাসীর স্ত্রী শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে থানায় সেই চিকিৎসককের নামে ধর্ষণের মামলা করার পর রাত সোয়া ১২টার দিকে ধর্মপাশা উপজেলার স্বর্ণা ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় বিয়ের প্রলোভনে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সেই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অভিযুক্ত চিকিৎসককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

ওই চিকিৎসকের নাম কিবরিয়া খান (৩২)। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার চড়িয়াকোনা গ্রামের মৃত আব্দুল মতিন খানের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করা কিবরিয়া খান ৯ মাস ধরে ধর্মপাশায় প্রাইভেট প্র্যাকটিস করছিলেন। এ সময় শারীরিক অসুস্থতার কারণে এক প্রবাসীর স্ত্রী তার কাছে চিকিৎসা নিতে গেলে তাদের মধ্যে পরিচয় গড়ে ওঠে। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, বিয়ের আশ্বাস দিয়ে চিকিৎসক প্রায় ছয় মাস ধরে ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। সর্বশেষ গত ৩০ আগস্ট রাত ২টার দিকে ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। বিয়ের কথা তুললে নানা কৌশলে তা এড়িয়ে যান অভিযুক্ত চিকিৎসক। 

ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পরপরই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ
Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post