এসি বিস্ফোরণের কারণ এবং দুর্ঘটনা এড়াবেন যেভাবে

 

এসি বিস্ফোরণের কারণ এবং দুর্ঘটনা এড়াবেন যেভাবে

প্রচণ্ড গরম থেকে বাঁচতে বাড়ি ও অফিসে বাড়ছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের (এসি) ব্যবহার। কিন্তু সে অনুযায়ী বাড়ছে না সঠিকভাবে এসি রক্ষণাবেক্ষণের জ্ঞান। যে কারণে প্রায়ই ঘটে এসি বিস্ফোরণের মতো দুর্ঘটনা। এ দুর্ঘটনা অনেক সময় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণ হয়ে ওঠে।

এসির মেইনটেনেন্সে গাফিলতি হলেই বিস্ফোরণ ও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত
এসির মেইনটেনেন্সে গাফিলতি হলেই বিস্ফোরণ ও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসির মেইনটেনেন্সে গাফিলতি হলেই বিস্ফোরণ ও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সাধারণত এসির সার্ভিসিং নিয়মিত না করা হলে এসির পাইপলাইন এবং গ্যাস সিলিন্ডারে ব্লক তৈরি হয়। এতে গ্যাস প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয় এবং একটা পর্যায়ে বিস্ফোরণ ঘটে।

এছাড়া দু-তিন মাস এসি না চালানোর কারণে লিকুইড বাষ্প হয়ে যায়। সেই অবস্থায় এসির কার্যক্রম হলে কম্প্রেসারে বেশি চাপ পড়ে। এখান থেকে বিস্ফোরণ হতে পারে।
এসি বিস্ফোরণের আরেকটি উল্লেখযোগ্য কারণ হলো এসি বসাতে ভবনের বাইরে বা দেয়ালে যে পরিমাণ জায়গা দরকার, সেই পরিমাণ জায়গা দেয়া হচ্ছে না। একটা মেশিনের গরম আরেকটা মেশিনে ছড়িয়ে পড়ছে, যেখান থেকে বিস্ফোরণ হচ্ছে।
 
এক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তিবিদরা বলছেন, দুর্ঘটনা এড়াতে এক টন এসির জন্য ১৫০ স্কয়ার ফুটের জায়গা প্রয়োজন। এ জায়গার মধ্যে একাধিক এসি না চালানোর পরামর্শ তাদের।
 
এসির বিস্ফোরণ ও তা থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, মৃত্যুঝুঁকি এড়াতে এসি বিস্ফোরণের কারণ, সতর্কতা ও তা থেকে প্রতিরোধের উপায় জানা জরুরি। আসুন এক নজরে জেনে নিই এসি বিস্ফোরণের কারণ এবং কী করলে এর থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে তার কয়েকটি উপায় সম্পর্কে-
 
বিস্ফোরণের কারণ
 
১. এসির পাওয়ার কেবল সঠিক স্পেক–এর ব্যবহার না করলে।
২. এসির কনডেনসারে ময়লা থাকলে কম্প্রেসারে হাই টেম্পারেচার ও হাই প্রেশার তৈরি হয়ে।
৩. এসির ভেতরের পাইপের কোথাও ব্লকেজ হলে এসির ভেতরে হাই প্রেশার তৈরি হয়ে কম্প্রেসার ব্লাস্ট হতে পারে।
৪. কম্প্রেসারের লিমিটের চেয়ে বেশি রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করলে হাই প্রেশার তৈরি হয়ে।
৫. কম্প্রেসারে প্রয়োজনীয় পরিমাণ রেফ্রিজারেন্ট না থাকলে ভেতরের তাপমাত্রা লিমিটের চেয়ে বেড়ে গিয়ে।
৬. সঠিকভাবে এসির ভ্যাকুয়াম না করলে।
৭. কম্প্রেসারে সঠিক পদ্ধতিতে রেফ্রিজারেন্ট চার্জ না করলে কম্প্রেসরে হাই প্রেশার তৈরি হয়ে।
৮. সঠিক রেটিংয়ের সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার না করলে।
 এসি বিস্ফোরণের দুর্ঘটনা এড়াবেন যেভাবে 
 
১. ভালোমানের এবং সঠিক স্পেকের পাওয়ার কেবল ব্যবহার করা।
২. এসির কনডেনসার নিয়মিত পরিষ্কার রাখা।
৩. কম্প্রেসারে হাই টেম্পারেচার ও হাই প্রেশার পরীক্ষা করা।
৪. এসির ভেতরের পাইপের কোথাও ব্লকেজ আছে কি না, তা পরীক্ষা করা।
৫. কম্প্রেসারে প্রয়োজনীয় রেফ্রিজারেন্ট আছে কি না, তা অভিজ্ঞ ও বিশ্বস্ত কোম্পানির টেকনিশিয়ান দিয়ে পরীক্ষা করা।
 ৬. কম্প্রেসারের লিমিটের চেয়ে বেশি রেফ্রিজারেন্ট চার্জ না করা।
৭. সঠিকভাবে এসির ভ্যাকুয়াম করা।
৮. কম্প্রেসারে সঠিক পদ্ধতিতে রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করা।
৯. বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডের এসি, কম্প্রেসার এবং রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করা।
১০. নিম্নমানের অখ্যাত বা নকল ব্র্যান্ডের এসি এবং কম্প্রেসার কেনা এবং ব্যবহার থেকে বিরত থাকা।
১১. সঠিক রেটিংয়ের সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার করা।
১২. বারান্দা কিংবা খুব কাছে না রেখে ঘরের বাইরে এসি আউটডোর সেট করা।
১৩. দীর্ঘদিন পর এসি চালু করার আগে বিস্ফোরণের ঝুঁকি এড়াতে একজন দক্ষ সার্ভিস এক্সপার্ট দিয়ে এসিটি পরীক্ষা করে নেয়া।



Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post