

ইয়েমেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সানার আল-তাহরির পাড়ার বাড়িঘর, একটি চিকিৎসা কেন্দ্র ও আল-জাওফের রাজধানী আল-হাজমের একটি সরকারি ভবনসহ বেসামরিক ও আবাসিক এলাকায় এই হামলা চালানো হয়েছে। হামলার পর বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলগুলো আগুন নেভানো ও ধ্বংসস্তূপ থেকে আহতদের উদ্ধারের কাজ করছে।
হুতি পরিচালিত আল মাসিরাহ টিভি চ্যানেল জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় স্বাস্থ্য খাতের একটি চিকিৎসা কেন্দ্র ও স্থানীয় সরকারি ভবন লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে সানায় হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা জানায়, এই হামলা হুতি সন্ত্রাসী সরকারের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার উদ্দেশ্যে চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক্সে (সাবেক টুইটার) বলেন, কয়েকদিন আগে ইসরায়েলের রামন বিমানবন্দরে হুতিদের ড্রোন হামলার প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যে কেউ আমাদের আক্রমণ করবে, আমরা তাদের কাছে পৌঁছাবো।
হুতি সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, ইসরায়েলের এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তারা ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েল গাজার প্রতি তাদের সমর্থন ত্যাগ করার জন্য চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে হুতিরা লোহিত সাগরে ইসরায়েলি জাহাজগুলোর ওপর সামুদ্রিক অবরোধ আরোপ করেছে ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাচ্ছে। তারা ঘোষণা করেছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলে তারা ইসরায়েলে হামলা বন্ধ করবে।
গাজায় চলমান যুদ্ধের পাশাপাশি ইসরায়েল লেবানন, সিরিয়া, ইরাক ও ইয়েমেনেও বোমা হামলা চালিয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ৬৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
Post a Comment