যোনিতে চুলকানি ও সাদা স্রাবকে হালকা ভাবছেন? সাবধান! গর্ভধারণে বড় বাধা এবং যৌন শক্তি নষ্ট হতে পারে”

 






“যোনিতে চুলকানি ও সাদা স্রাবকে হালকা ভাবছেন? সাবধান! গর্ভধারণে বড় বাধা এবং যৌন শক্তি নষ্ট হতে পারে”


 চুলকানি ও সাদা স্রাব – আসলে কী?


নারীর যোনিতে প্রাকৃতিকভাবে সামান্য স্রাব (discharge) হয়। এটি শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং যোনিকে পরিষ্কার ও আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু স্রাব যদি অস্বাভাবিক হয়ে যায় (রঙ, গন্ধ বা পরিমাণে), সঙ্গে চুলকানি, জ্বালাপোড়া বা ব্যথা থাকে—তাহলেই বোঝা যায় ইনফেকশন বা হরমোনজনিত সমস্যা হয়েছে।




 গর্ভধারণে কীভাবে বাধা সৃষ্টি করে?




১. সংক্রমণ ও শুক্রাণু নষ্ট হওয়া:


ইস্ট ইনফেকশন, ব্যাকটেরিয়া বা ট্রাইকোমোনাসের মতো সংক্রমণে যোনি পরিবেশ (pH) বদলে যায়। ফলে শুক্রাণু জরায়ুর ভেতরে পৌঁছাতে পারে না বা নষ্ট হয়ে যায়।




২. জরায়ু ও ফ্যালোপিয়ান টিউব ক্ষতি:


দীর্ঘদিন অবহেলা করলে ইনফেকশন জরায়ুর ভিতর, এমনকি ফ্যালোপিয়ান টিউব পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এতে টিউব বন্ধ হয়ে যেতে পারে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলনে বাধা দেয়।




৩. ইমপ্লান্টেশনে সমস্যা:


সাদা স্রাবের পেছনে যদি হরমোনাল ডিসঅর্ডার (যেমন PCOS বা প্রোজেস্টেরন কম থাকা) থাকে, তাহলে জরায়ুর আস্তরণ (endometrium) ঠিকভাবে প্রস্তুত হয় না। ফলে ভ্রূণ বসতে পারে না।




৪. গর্ভপাতের ঝুঁকি:


কিছু ইনফেকশন শুরুতে গর্ভধারণে বাধা দেয়, আবার গর্ভ হলে প্রাথমিক পর্যায়ে ভ্রূণ নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে।




 কী করলে সমস্যা এড়ানো যাবে?


নিয়মিত ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা


গন্ধযুক্ত সাবান বা স্প্রে ব্যবহার না করা


সমস্যার শুরুতেই গাইনোকলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া


প্রয়োজনীয় টেস্ট (যেমন ভ্যাজাইনাল সোয়াব, হরমোন টেস্ট) করানো


চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধের পুরো কোর্স শেষ করা


 তাই “চুলকানি” বা “সাদা স্রাব”কে সাধারণ ভেবে অবহেলা করলে পরে বড় সমস্যা হতে পারে। সময়মতো সঠিক চিকিৎসা নিলে আবার গর্ভধারণও সম্ভব হয়।

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post