
জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রকাশ্যে ইরাককে তাদের পরবর্তী টার্গেট হিসেবে হুমকি দিয়েছেন।
এই ভাষণে তিনি বরাবরের মতোই ইরান ও প্রতিরোধ শক্তির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ও কল্পিত দাবি উপস্থাপন করে বলেন, ইরাকের ‘মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোকে নির্মূল করা হবে।
নেতানিয়াহুর বক্তব্যে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে পশ্চিম এশিয়ায় ইসরায়েলি আগ্রাসন আরও সম্প্রসারণের পরিকল্পনা। এর আগে তারা হামলা চালিয়েছে গাজা, লেবানন ও সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে। এবার তিনি প্রকাশ্যে ইরাককেও হুমকি দিলেন, যা অঞ্চলজুড়ে নিরাপত্তা সংকট আরও ঘনীভূত করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর আশ্রয়-প্রশ্রয়ে নির্ভয়ে এইসব আগ্রাসী হুমকি দিয়ে যাচ্ছে জায়নিস্ট সরকার, এমনটাই মত বিশ্লেষকদের।
নেতানিয়াহু আরও দাবি করেন, ইসরায়েল ইতোমধ্যে ইরানের পরমাণু ও ব্যালিস্টিক কর্মসূচি ধ্বংস করেছে। তিনি বলেন, ইরান শুধু ইসরায়েল নয়, যুক্তরাষ্ট্রকেও হুমকি দেয়ার জন্য তৎপর।
তিনি আরও বলেন, তারা ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠীকে দমন করেছে, হামাসের বড় একটি অংশকে নির্মূল করেছে এবং হিজবুল্লাহকে দুর্বল করেছে।
জাতিসংঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি আবারও ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার হুমকি দেন এবং নিরাপত্তা পরিষদকে ইরানের ওপর আবারও নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান।
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ধারণাকে উন্মাদনা আখ্যা দিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, জেরুজালেমের কাছে কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের পরিকল্পনা মেনে নেওয়া হবে না। তিনি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলেও অভিহিত করেন, যদিও তারা দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের সঙ্গে সহযোগিতা করে এসেছে।
সূত্র: মেজের নিউজ
Post a Comment