যে ৪ কারণে সবচেয়ে বেশি হার্ট অ্যাটাক হয়, জানালেন গবেষকরা

 

যে ৪ কারণে সবচেয়ে বেশি হার্ট অ্যাটাক হয়, জানালেন গবেষকরা


 


দেখতে সুস্থ-সবল মানুষ। কোনো রোগ-অসুখ নেই। হঠাৎ একদিন বুকে ব্যথা, তারপরই ধরা পড়ল হার্ট অ্যাটাক। এমন ঘটনা এখন নিয়মিতই ঘটছে।


হৃদ্‌রোগ অনেক সময় কোনো পূর্ব লক্ষণ ছাড়াই দেখা দেয়।

হার্টের ধমনিতে নিঃশব্দে রক্ত জমাট বাঁধছে কি না, তা বোঝা কষ্টসাধ্য। বুকে ব্যথা নেই, রাতে শোয়ার পর ঘামও হয় না, অন্যান্য যে লক্ষণগুলোর কথা বলা হয়, তা-ও নেই। এরপরও ধরা পড়তে পারে হৃদ্‌রোঅথবা আচমকাই হার্ট অ্যাটাক করে বসতে পারে।

হার্ট অ্যাটাক হওয়ার কারণ অনেক। তবে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের গবেষকরা হৃদ্‌রোগ হওয়ার মূল চারটি কারণ চিহ্নিত করেছেন। প্রায় ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, ওই চার কারণেই হার্ট অ্যাটাক বেশি হয়।


হার্ট অ্যাটাকের মূল চার কারণ


উচ্চ রক্তচাপ


দিন দিন উচ্চ রক্তচাপের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিবছর লক্ষাধিক মানুষ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আক্রান্ত হন। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না রাখলে স্ট্রোক বা হৃদ্‌যন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দেয়। একটা সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একজন সুস্থ ব্যক্তির রক্তচাপের স্বাভাবিক মাপ হিসেবে ১২০/৮০-কে নির্দিষ্ট করে। পরে জীবনযাপনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই অঙ্কই তারা বাড়িয়ে কসম্প্রতি প্রকাশিত আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের নির্দেশিকা অনুযায়ীও এই মাপকে ১৩০ ধরা হয়েছে। তবে এর বেশি হওয়া মানেই বিপদ। তখন রক্তবাহী ধমনীর ওপর চাপ বাড়ে। ফলে হার্টের স্পন্দন অনিয়মিত হয়ে যেতে পারে।


উচ্চ কোলেস্টেরল


কোলেস্টেরলের ভালো ও খারাপ দুটি-ই আছে। খারাপ কোলেস্টেরলের ফাঁদে পড়লেই হার্টের স্বাস্থ্যে পরিবর্তন দেখা দেয়। বিগড়ে যায় তার ছন্দ। খারাপ কোলেস্টেরল বাড়লে রক্তনালির মধ্যে রক্তজমাট বাঁধার প্রবণতা বাড়ে। আর রক্ত জমাট বাঁধলে হৎস্পন্দন অনিয়মিত হবেই। তখন হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে।


রক্তে অধিক শর্করা


রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে থেরোসক্লেরোসিসের ঝুঁকি বাড়ে। এক্ষেত্রে ধমনীর দেওয়ালের মধ্যে চর্বি, কোলেস্টেরল এবং অন্যান্য পদার্থ জমতে থাকে। যাকে বলে ‘প্লাক’। এর ফলে ধমনি সংকীর্ণ হয়ে রক্তপ্রবাহকে বাধা দিতে পারে। এই ব্লকেজ থেকেই স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাঅতিরিক্ত ধূমপান


অতিরিক্ত ধূমপানের কারণে শরীর নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধূমপানের কারণে রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। যে কারণে ধমনিতে রক্তজমাট বাঁধার আশঙ্কা বেড়ে যায়। ফলে হৃৎপিণ্ড আর মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন বাধাপ্রাপ্ত হয়। সঙ্গে রক্তনালিতে চর্বি, খারাপ কোলেস্টেরল ও ক্যালসিয়াম জমতে থাকে। যে কারণে রক্তনালির দেওয়াল পুরু হতে থাকে, যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।


হার্ট ভালো রাখতে তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। যতটা সম্ভব ধূমপান এড়িয়ে চলতে হবে। রক্তে শর্করা যাতে না বাড়ে, সে কারণে প্রতিদিনের খাওয়াদাওয়ায় নজর দিতে হবে। সুষম আহারের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চাও প্রয়োজন।


হার্টের রোগ গোপনে দেখা দিচ্ছে কি না, তা নির্ণয় করার অনেকগুলো পরীক্ষা আছে, যেমন—অ্যাঞ্জিয়োগ্রাম, ইলেক্ট্রোকার্ডিয়োগ্রাম, ইকোকার্ডিয়োগ্রাম, স্ট্রেস টেস্ট, কার্ডিয়াক এমআরআই। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এসব পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি। থাকে।

🎁 Your Special Offer is Loading...

Please wait a moment. You'll be redirected automatically after the countdown.

10s

⏳ Stay here — your offer will open in a new page.
✅ Redirect happens only once per session.

Post a Comment

Previous Post Next Post