রংপুরে অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত ৯, দুইজনের মৃত্যু
অনলাইন ডেস্ক

রংপুরের পীরগাছা, মিঠাপুকুর ও কাউনিয়া উপজেলায় অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, জুলাই ও আগস্টে পীরগাছায় উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে দুইজন। এছাড়া অন্তত ২০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জানায়, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পীরগাছার ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ৮ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়েছে। মিঠাপুকুরে ৪ জনের নমুনায় ১ জনের এবং কাউনিয়ার ৫ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল অপেক্ষমাণ।
পীরগাছা, কাউনিয়া, মিঠাপুকুর ও রংপুর সদরে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৬৫ হাজার গবাদিপশুকে প্রতিরোধমূলক টিকা দেওয়া হয়েছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, মাটিতে সুপ্ত থাকা ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামক ব্যাকটেরিয়া থেকেই এ রোগ ছড়ায়। আক্রান্ত পশুর মাংস, রক্ত বা বর্জ্যের সংস্পর্শে এলে মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। তবে মানুষ থেকে মানুষে এটি ছড়ায় না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত দুই মাসে শুধু পীরগাছাতেই অ্যানথ্রাক্সে এক হাজারের মতো গবাদিপশু মারা গেছে। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা জোরদারের কথা বললেও হাটবাজারে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা কিংবা সচেতনতা কার্যক্রমে রয়েছে ঘাটতি।
চিকিৎসকরা বলছেন, রোগ প্রতিরোধে পশুর টিকাদান, মাংস ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স ও পশু জবাইয়ের আগে বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষার নিয়ম যথাযথভাবে বাস্তবায়ন জরুরি। অন্যথায় জনস্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা এবং পরিবেশ চরম ঝুঁকিতে পড়বে।
Post a Comment