চুলকানি শুধু অ্যালার্জি বা চর্মরোগ নয়, হতে পারে মারাত্মক সব রোগের লক্ষণ

চুলকানি শুধু অ্যালার্জি বা চর্মরোগ নয়, হতে পারে মারাত্মক সব রোগের লক্ষণ 

 


চুলকানি একটি খুবই সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চুলকানি বিভিন্ন চর্মরোগের কারণে হয় যেমন একজিমা, অ্যালার্জি, স্ক্যাবিস, ছত্রাক সংক্রমণ ইত্যাদি। তবে চুলকানি বিভিন্ন শারীরিক রোগের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হিসেবেও প্রকাশ পেতে পারে।লিভারের রোগ

লিভার বা যকৃতের দীর্ঘমেয়াদি রোগ হলে চুলকানি হয়। কোলেস্ট্যাটিক লিভার ডিজিজ যেমন অবস্ট্রাকটিভ জন্ডিস, প্রাথমিক পিত্তনালির প্রদাহ বা প্রাইমারি বিলিয়ারি কোলানজাইটিস, প্রাইমারি স্ক্লেরসিং কোলানজাইটিস রোগেও চুলকানি অন্যতম প্রধান উপসর্গ। পিত্তরস ও পিত্ত অ্যাসিড রক্তে জমে ত্বকের স্নায়ু উত্তেজিত করে, এই চুলকানি রাতে বেশি হয়।


কিডনির রোগ

দীর্ঘমেয়াদি রোগ বিশেষ করে ডায়ালাইসিস করতে হয় এমন রোগীদের মধ্যে এ রকম চুলকানি দেখা যায়। সাধারণত এটি সারা শরীরে হয়। বেশি হয় রাতে। রাতের ঘুম নষ্ট করে।


রক্তের রোগ

রক্তশূন্যতায় শরীর চুলকাতে পারে, বিশেষ করে আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতায়। পলিসাইথেমিয়া নামে রক্তের এক বিশেষ রোগ, যেটিতে রক্তের হিমোগ্লোবিন ও লোহিত রক্তকণিকা বেড়ে যায়, তাতেও চুলকানি হতে পারে। গোসলের পর বা গরম পানিতে চুলকানি এটির একটি সাধারণ উপসর্গ। রক্তের ক্যানসারের ক্ষেত্রেও অনেক সময় চুলকানি প্রাথমিক সতর্কসংকেত। অন্যান্য কিছু রক্তের ক্যানসারেও চুলকানি হতেআরও যেসব রোগের লক্ষণ

ডায়াবেটিসে চামড়া শুষ্ক হয়। শুষ্ক ত্বকে চুলকানি হতে পারে। ডায়াবেটিসে বারবার ছত্রাক বা ফাঙ্গাসজনিত সংক্রমণ হতে পারে।


থাইরয়েডের রোগে বিশেষ করে হাইপোথাইরয়েডিজম হলে চুলকানি দেখা দিতে পারে। ত্বকের শুষ্কতার জন্য এটি হয়।


গর্ভাবস্থায় কারও কারও পিত্তরস জমে শরীর চুলকায়, বিশেষ করে হাত-পায়ের তালুতে চুলকানি বেশি থাকে।


এইডস হলে বা এইচআইভি সংক্রমণে শরীর চুলকাতে পারে।


হেপাটাইটিস সি ভাইরাস সংক্রমণে চুলকানির সঙ্গে ভাসকুলাইটিস থাকতে পারে।


কৃমি হলে বা পরজীবীর সংক্রমণেও চুলকানি দেখা দেয়।


স্নায়ুজনিত কিছু রোগ যেখানে প্রান্তিক স্নায়ু ও সংবেদনে সমস্যা হয়, সেগুলোতে চুলকানি হতে পারে।


দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ, ডিপ্রেশনে চুমনে রাখতে হবে

চুলকানির কিছু বৈশিষ্ট্য যা জটিল রোগের দিকে ইঙ্গিত করে। এর মধ্যে অন্যতম সারা শরীর চুলকানো।


কোনো দৃশ্যমান ত্বকের চিহ্ন বা র‍্যাশের অনুপস্থিতি, রাতে চুলকানি বেড়ে যাওয়াও খারাপ লক্ষণ।


নির্দিষ্ট সিস্টেমিক উপসর্গের সঙ্গে থাকা যেমন জন্ডিস, কিডনি ফেইলিউর, ওজন কমা, রক্তশূন্যতা, লিম্ফনোড ফোলা ইত্যাদি।


চুলকানি শুধু অ্যালার্জি বা চর্মরোগ নয়, লিভার, কিডনি, রক্ত, হরমোন, ইনফেকশন ও স্নায়ুজনিত সমস্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হতে পারে।লকানি দেখা যায়। পারে

🎁 Your Special Offer is Loading...

Please wait a moment. You'll be redirected automatically after the countdown.

10s

⏳ Stay here — your offer will open in a new page.
✅ Redirect happens only once per session.

Post a Comment

Previous Post Next Post