যার হাতে ধ্বংস হবে কাবাঘর, বাধা দেবে না কোন মুসলমান

যার হাতে ধ্বংস হবে কাবাঘর, বাধা দেবে না কোন মুসলমান

Uploading: 924904 of 924904 bytes uploaded.


একদিন এই পৃথিবী থেকে মুছে যাবে ইসলামের নাম। কোরআনের অক্ষর থাকবে, কিন্তু কেউ তাতে আর আমল করবে না এমনই এক ভয়াবহ ভবিষ্যৎবাণী করেছেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। সেই সময় পৃথিবীতে ঈমানদার মানুষও খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর ঠিক তখনই এক আবিসিনীয় (ইথিওপীয়) ব্যক্তির হাতে ধ্বংস হবে মুসলমানদের হৃদয়ের কেন্দ্রবিন্দু পবিত্র কাবাঘর।

ইতিহাসে কাবা শরীফ শুধু একটি স্থাপনা নয়; এটি মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও নবুয়তের ধারাবাহিকতার প্রতীক। প্রতি বছর কোটি কোটি মুসলমান এর চারপাশে তাওয়াফ করেন, নামাজে মুখ ফিরিয়ে নেন এর দিকে। কিন্তু সহীহ বুখারীর এক হাদিসে নবী করিম (সা.) ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, এক সময় আসবে যখন এই ঘর ধ্বংস হয়ে যাবে, আর তখন কিয়ামত হবে অতি নিকটে।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যখন কাবাঘর ধ্বংস হবে, তখন কিয়ামত খুব কাছাকাছি চলে আসবে।” অর্থাৎ ইমাম মাহদীর আগমন, দাজ্জালের আবির্ভাব, হযরত ঈসা (আ.)-এর আগমন এবং ইয়াজুজ-মাজুজের ফিতনা এসব ঘটনার পরেই কাবা ধ্বংসের সেই মর্মান্তিক মুহূর্ত ঘটবে।

শেষ জামানায় ইসলাম থাকবে কেবল নামমাত্র। কোরআনের অক্ষর থাকবে, কিন্তু কেউ তা অনুসরণ করবে না। নবী করিম (সা.) আরও বলেছেন, “এক রাতে কোরআন পৃথিবী থেকে উঠিয়ে নেওয়া হবে। তখন আর কোনো আয়াত মানুষের মুখে বা কিতাবে থাকবে না।” অর্থাৎ দুনিয়া থেকে ইসলামের আলো নিভে যাবে, মানুষ কাবাকে কেবল একটি প্রাচীন স্থাপত্য হিসেবে দেখবে। তখন হজ বন্ধ হয়ে যাবে, তাওয়াফ থেমে যাবে, মক্কা-মদিনা জনশূন্য হয়ে পড়বে।

হাদিসে আরও বর্ণিত আছে, একজন আবিসিনীয় (ইথিওপীয়) ব্যক্তির হাতে ধ্বংস হবে কাবাঘর। তার নাম হবে জুসুয়া কাতাইন। তার গায়ের রঙ হবে কালো, পা হবে পাতলা ও লম্বা। সে আফ্রিকার দিক থেকে এসে একে একে কাবার ইট-পাথর খুলে ফেলবে, যেন এই ঘরটি কখনোই ছিল না। তখন তাকে বাধা দেওয়ার মতো একজন ঈমানদার মুসলমানও পৃথিবীতে অবশিষ্ট থাকবে না।

ইতিহাসে একাধিকবার কাবা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, কখনো সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়নি। ৬৮৩ খ্রিস্টাব্দে ইবনে জুবায়ের ও হাজ্জাজ বিন ইউসুফের যুদ্ধে কাবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, পরে আব্বাসীয় যুগে আগুন ও বন্যায়ও এর অংশ ধ্বংস হয়। কিন্তু প্রতিবারই মুসলমানদের ঐক্য ও ভালোবাসায় এটি পুনর্নির্মিত হয়েছে। তবে শেষ জামানায় কাবার ধ্বংস হবে সম্পূর্ণ ও চূড়ান্ত তখন আর পুনর্নির্মাণের শক্তি বা ঈমান কারো মধ্যে থাকবে না।

কাবার ধ্বংস হবে কিয়ামতের শেষ সূচকগুলোর একটি। এরপরই পৃথিবীতে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসবে। মানুষের হৃদয় থেকে শান্তি বিলীন হবে, সূর্য উঠবে পশ্চিম দিক থেকে, এবং ধ্বনিত হবে কিয়ামতের চূড়ান্ত আহ্বান।


🎁 Your Special Offer is Loading...

Please wait a moment. You'll be redirected automatically after the countdown.

10s

⏳ Stay here — your offer will open in a new page.
✅ Redirect happens only once per session.

Post a Comment

Previous Post Next Post