জামায়াত-শিবিরকে নিয়ে রাশেদ খানের বিস্ফারক মন্তব্য!

 জামায়াত-শিবিরকে নিয়ে রাশেদ খানের বিস্ফারক মন্তব্য!

জামায়াত-শিবিরকে নিয়ে রাশেদ খানের বিস্ফারক মন্তব্য!

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান দাবি করেছেন যে, জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কৌশলের কারণে দেশের মধ্যপন্থি রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে, অন্য রাজনৈতিক দলে নিজেদের কর্মী যুক্ত করার নীতির কারণে গণঅধিকার পরিষদ এবং ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের টাইমলাইনে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই দাবি করেন।

রাশেদ খান তাঁর পোস্টে লিখেছেন, “জামায়াত এবং শিবিরের অন্য দলে নিজেদের কর্মী যুক্ত করার রাজনীতির নীতি বন্ধ করতে হবে। সাম্প্রতিককালে এ নীতির কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি।”

তিনি অভিযোগ করেন, এই কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে তারুণ্যের এই দুটি দলের পাশাপাশি অন্যান্য দলেও নিজেদের লোক যুক্ত রেখে জামায়াত-শিবির সেই দলগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং দলের অভ্যন্তরে সন্দেহ-সংশয় বাড়িয়েছে।

তিনি আরও দাবি করেন, পরিচয় অপ্রকাশ্য রেখে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোতেও যুক্ত থাকার নীতির কারণে এসব সংগঠনের স্বাভাবিক ও স্বতঃস্ফূর্ত কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তাঁর মতে, “অন্য দলে যুক্ত করার এ নীতি থেকে বাম-ডান-মধ্যপন্থি কেউই ছাড় পায়নি।” রাশেদ খান মনে করেন, গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে জামায়াত-শিবির তার ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা সময় উপভোগ করছে।
জামায়াত-শিবিরের উদ্দেশে রাশেদ খান কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, যদি তারা বাংলাদেশে মধ্যপন্থি ধারার রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চায়, তবে সেটাকে সাধুবাদ জানানো হবে। কিন্তু শর্ত হলো:


তাদের পুরো রাজনীতির নীতি হতে হবে প্রকাশ্য নীতি। অন্য দলে যুক্ত হয়ে সেই দলে প্রভাব বিস্তারের রাজনীতি পুরোপুরি বন্ধ না করলে পুরো দেশের সিস্টেম কলাপস করবে এবং বিরাজনীতিকরণ সৃষ্টি হবে।”

তিনি সতর্ক করে দেন যে, দেশের রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হলে এতে জামায়াত-শিবিরও চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

রাশেদ খান ইসলামকে রাজনীতিতে হাজির করার ক্ষেত্রেও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে জামায়াত ও শিবিরের রাজনীতি মধ্যপন্থি ধারায় চলছে। এই ধারার সঙ্গে ইসলামকে যুক্ত করলে ইসলামিক দল সম্পর্কে সাধারণ মানুষ ভুল বার্তা পাবে।


তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “ইসলামিক রাজনীতি করলে পুরোপুরি সেটাই করা উচিত। আর মধ্যপন্থি রাজনীতি করলে সেটাই করা উচিত।” উপসংহারে তিনি মত দেন যে, “পলিটিক্যাল ইসলাম বলে কিছু নাই। ইসলাম কায়েম ও শরিয়াহ আইন প্রতিষ্ঠানের মাঝখানে কোনো কৌশল কাজ করে না। বরং এ কৌশলের কারণে আপনি বুঝে শুনে ইসলামকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছেন


Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post