0
আপনি কি নিজের অজান্তেই মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন? সতর্ক করেছেন রাসূল (সা.) ও বিজ্ঞান
মানুষের আয়ু যে কেবল বয়সের সংখ্যায় মাপা হয় না, তা এখন আধুনিক বিজ্ঞানও প্রমাণ করছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন এমন দুটি অভ্যাস রয়েছে, যা ধীরে ধীরে মানুষের জীবন থেকে বছর কেড়ে নিচ্ছে। আশ্চর্যের বিষয়, এই দুই অভ্যাস সম্পর্কে প্রায় চৌদ্দশ বছর আগেই সতর্ক করেছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।কোরআন ও আধুনিক বিজ্ঞানের এই অদ্ভুত মিল এখন সারা বিশ্বে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। প্রশ্ন জাগে ঠিক কোন দুটি অভ্যাস আমাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে?
অনেকে হয়তো বলবেন, ‘আয়ু তো আল্লাহর হাতে।’ অবশ্যই, আয়ু আল্লাহর নির্ধারিত বিষয়। তবে আয়ুতে বরকত বা অবারকতা সৃষ্টি হয় মানুষের কাজের মাধ্যমেই। আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “মানুষের সৎ কাজ তার আয়ু বৃদ্ধি করে, আর অশুভ কাজ তার আয়ু থেকে বরকত কেড়ে নেয়অর্থাৎ, আপনি যদি দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন চান, তবে আপনাকে সুস্থ জীবনযাপনের নিয়ম মেনে চলতেই হবে।প্রথম অভ্যাস: ধূমপান ও মাদক গ্রহণ
বিশ্বের প্রায় সব চিকিৎসকই একমত যে, ধূমপান ও মাদক মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় শত্রু। এই অভ্যাস শুধু শরীর নয়, মন ও আত্মাকেও ধ্বংস করে। নেশা বা ধূমপানের কারণে হার্ট, ফুসফুস, লিভার, এমনকি মস্তিষ্ক পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একসময় তা আয়ুর ওপরও সরাসরি প্রভাব ফেলে।
আপনি যদি মাদক বা ধূমপানে আসক্ত হন, আজই এ অভ্যাস থেকে ফিরে আসুন। এটি কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। কারণ, তওবা ও দৃঢ় সংকল্পই পারে মানুষকে সবচেয়ে ভয়াবহ অভ্যাস থেকেও মুক্তি দিতে।
দ্বিতীয় অভ্যাস: অতিরিক্ত খাবার খাওয়া
আরেকটি নীরব মৃত্যুর কারণ হলো অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ। আমরা অনেকেই ভেবে নিই ‘আয়ু তো আল্লাহর হাতে, তাহলে খাওয়া-দাওয়ার সঙ্গে মৃত্যুর সম্পর্ক কী?’
কিন্তু ভাবুন, আল্লাহ আমাদের জন্য যেমন নির্দিষ্ট আয়ু ঠিক করেছেন, তেমনি নির্ধারণ করেছেন রিজিকের পরিমাণও। আপনি যদি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাবার খেয়ে ফেলেন, তবে সেই রিজিক দ্রুত ফুরিয়ে যাবে। আর যখন ফেরেশতারা আপনার জন্য রিজিকের ব্যবস্থা খুঁজে পাবেন না, তখনই আপনার পৃথিবীর সময় শেষ হয়ে যাবে।
অতএব, অতিরিক্ত ভোজন শুধু রোগের কারণ নয়, বরং বরকত হারানোরও কারণ। আপনি যদি প্রয়োজন অনুযায়ী খান, সংযমী জীবনযাপন করেন, তাহলে আল্লাহ আপনার রিজিকে বরকত দান করবেন এবং আপনাকে সুস্থ রাখবেন।
অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন মানেই আত্মবিনাশ
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনি যদি শরীরের প্রতি অবহেলা করেন, নিয়ম মানেন না, বা নেশায় ডুবে থাকেন— তাহলে আপনি নিজেই নিজের আয়ু কমিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি পরবর্তীতে অভ্যাস বদলালেও এর ক্ষতি দীর্ঘস্থায়ী হয়।
বিজ্ঞান ও কোরআনের মিল যে বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে
আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান এখন বলছে, ধূমপান, মদ্যপান ও অতিভোজন হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, স্ট্রোকসহ অসংখ্য প্রাণঘাতী রোগের জন্ম দেয়। আশ্চর্যের বিষয়, কোরআন ও হাদীসে শতাব্দী আগে থেকেই মানুষকে এসব থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
এই দুই সতর্কবার্তা— রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর বাণী ও আধুনিক বিজ্ঞানের গবেষণা— আজ একই জায়গায় এসে মিলিত হয়েছে।
আপনার অভ্যাসে যদি এই দুটি ধ্বংসাত্মক অভ্যাস থাকে, আজই তা ত্যাগ করুন। নিজের প্রতি দয়া করুন, কারণ জীবন একবারই পাওয়া যায়। সুস্থভাবে বাঁচা শুধু নিজের নয়, বরং পরিবারের প্রতিও দায়িত্ব। আল্লাহ তায়ালার দেওয়া শরীর ও আয়ু যেন তাঁরই সন্তুষ্টির পথে ব্যয় হয়— সেটিই হোক আমাদের লক্ষ্য
🎁 Your Special Offer is Loading...
Please wait a moment. You'll be redirected automatically after the countdown.
⏳ Stay here — your offer will open in a new page.
✅ Redirect happens only once per session.

Post a Comment